ঢাকা,রোববার, ৫ মে ২০২৪

শিক্ষকতার আড়ালে ইয়াবার কারবার

কক্সবাজার প্রতিনিধি :: জয়নাল আবেদীন, কক্সবাজারের একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক। তবে আড়ালে করেন ইয়াবার কারবার। চট্টগ্রামে একটি ইয়াবা মামলার তদন্ত করতে গিয়ে এ স্কুলশিক্ষকের সন্ধান পেয়েছে পুলিশ। যিনি মাদক কারবারীদের কাছে ‘দুলাভাই’ নামে পরিচিত। নগরীর দেওয়ানহাট মোড় থেকে মঙ্গলবার রাতে জয়নাল আবেদীনকে (৪২) এক হাজার ৭০০ পিস ইয়াবাসহ গ্রেপ্তার করা হয়।

পরে তার দেওয়া তথ্যে বায়েজিদ বোস্তামী থানার হাজীরপুল এলাকায় তার বাসা থেকে আরও ২০ হাজার ইয়াবাসহ গ্রেপ্তার করা হয় মোবারক হোসেন (২৭) ও রেজাউল করিম দিদার (৩১) নামে আরও দুজনকে। যারা সম্পর্কে তার শ্যালক বলে পুলিশ জানায়।

ডবলমুরিং থানার ওসি মোহাম্মদ মহসিন জানান, গত ৮ অগাস্ট রাতে নগরীর কদমতলী ফ্লাইওভারের নিচ থেকে ২১ হাজার ৭০০ পিস ইয়াবাসহ কভার্ড ভ্যানের এক চালক ও তার সহকারীকে গ্রেপ্তার করা হয়। এসময় তাদের কাছ থেকে একটি টেলিফোন নাম্বার পাওয়া যায়। সে নম্বরটি তাদের কাছে ‘দুলাভাইয়ের’ নাম্বার হিসেবে পরিচিত। ওসি বলেন, তারা ওই নম্বরটির ব্যক্তির বিষয়ে কোনো ধরনের তথ্য দিতে পারেনি এবং তারা তাকে কখনও দেখেননি বলেও দাবি করেছে।

ওসি জানান, ওই নম্বরটির মাধ্যমে কথিত দুলাভাইয়ের বিষয়ে বিস্তারিত খবরাখবর নেওয়া হয়। মঙ্গলবার রাতে কৌশলে কথিত এ দুলাভাইকে এক হাজার ৭০০ পিস ইয়াবাসহ আটক করে তার পূর্ণাঙ্গ নাম জয়নাল আবেদীন বলে নিশ্চিত হয় পুলিশ।
জয়নালকে গ্রেপ্তারের পর বায়েজিদ থানার হাজীরপুলে তার বাসায় অভিযানে যায় পুলিশ। এসময় বাসা থেকে আরও ২০ হাজার পিস ইয়াবা ও বিক্রির নগদ আট লাখ টাকা জব্দ করা হয়েছে বলে জানান ওসি।

ওসি মহসিন বলেন, “জয়নাল কক্সবাজার খুরুসকুল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক। তবে তার মূল কাজ ইয়াবা বিক্রি। তবে সে কারও সামনে আসে না। টেলিফোনে যোগাযোগ করে ইয়াবা সরবরাহ করে। আর যে নম্বর দিয়ে কথা বলে ইয়াবা হাতবদল করে সে নম্বরটি বন্ধ করে নতুন নম্বর চালু করে।” জয়নালের বাড়ি কক্সবাজার হলেও তার পরিবার থাকে চট্টগ্রামের বায়েজিদ থানার হাজীরপুল এলাকায়। এর আগে ২০১৯ সালেও কুমিল্লা ও কক্সবাজারের রামুতে ইয়াবাসহ দুই দফায় গ্রেপ্তার হয়েছিলেন বলে পুলিশকে জানায়।

পাঠকের মতামত: